
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





কুরআনের সাথে ওজু-গোসলের সম্পর্ক প্রচলিত ধারণা ও সঠিক তথ্য সারসংক্ষেপ মু’মিনের ১ নং কাজ তথা সবচেয়ে বড়ো ফরজ হলো কুরআনের জ্ঞানার্জন করা। আর শয়তানের ১ নং কাজ তথা সবচেয়ে বড়ো গুনাহ হলো কুরআনের জ্ঞান থেকে মু‘মিনকে দূরে রাখা। যে কোনো সত্তা তার ১ নং কাজে সফল হওয়ার জন্য সর্বাধিক চেষ্টা-সাধনা করবে এটা স্বাভাবিক। তাই, শয়তান তার ১ নং কাজে সফল হওয়ার জন্যে সব থেকে বেশি চেষ্টা-সাধনা করবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে, ১ নং কাজটিতে তার (শয়তানের) সফলতার মাত্রা দেখে। ‘ওজু ছাড়া কুরআন ধরা/স্পর্শ করা যাবে না (গুনাহ)’ কথাটি বর্তমান মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে চালু আছে। হাফেজ ছাড়া বাকি সব মুসলিমের কুরআনের অল্পই মুখস্থ থাকে। আবার বেশির ভাগ মুসলিমের জাগ্রত জীবনের অধিকাংশ সময় ওজু থাকে না। তাই ‘ওজু ছাড়া কুরআন ধরা/স্পর্শ করা যাবে না’ কথাটি অধিকাংশ মুসলিমের জন্য জাগ্রত জীবনের অধিকাংশ সময় কুরআন ধরে পড়া তথা কুরআনের জ্ঞানার্জনের পথে এক বিরাট বাধা। কথাটি চালু না থাকলে সকল মুসলিমের পকেটে বা ব্যাগে কুরআন থাকতো এবং বাসায়, অফিসে বা পথে-ঘাটের যে কোনো অবসর সময়ে তা পড়তে কোনো অসুবিধা হতো না। ফলে তাদের কুরআন পড়ার সময় অনেক বেড়ে যেত। তাই, এটি মুসলিমদের মধ্যে কুরআনের জ্ঞানী লোক কম থাকার একটি প্রধান কারণ। প্রচলিত এ কথাটির বিপক্ষে বা পক্ষে কুরআন, হাদীস ও Common sense/আকলের কী কী তথ্য আছে তা বইটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। পুস্তিকাটি মুসলিমদের কুরআন পড়ার সময়কে অনেক বাড়িয়ে দিয়ে শয়তানের ১ নম্বর কাজকে ব্যর্থ করে দিতে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।
Title | : | কুরআনের সাথে ওজু গোসলের সম্পর্ক প্রচলিত ধারণা ও সঠিক তথ্য (গবেষনা সিরিজ-০৯) |
Author | : | প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান |
Publisher | : | কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন |
ISBN | : | 9789843512116 |
Edition | : | 12th Edition, 2025 |
Number of Pages | : | 80 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন।
MBBS পাস করে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারিতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ল্যাপারোসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে (Single handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (Surgeon)।
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে ব্যাপক ও মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলো- ইসলামের সে সকল মূল বিষয়, যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা ৪২টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense-এর আলোকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো 'আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ' এবং 'সনদ ও মতন সহীহ হাদীস সংকলন&
If you found any incorrect information please report us